সর্বশেষ

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

মান্দায় মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের র‌্যালি

মান্দায় মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের র‌্যালি

 


নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় 'শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন অপরিহার্য' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁর মান্দায় মে দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১মে) সকাল ১০ টার দিকে বাংলাদেশ  শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মান্দা উপজেলা শাখার আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে বিভিম্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রসাদপুর চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত সভায় মান্দা উপজেলার শাখার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. মাহবুব আলম মিঠুর সভাপতিত্বে ও মান্দা উপজেলা শাখার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলার কেন্দীয় শুরা সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর খন্দকার মুহাঃ আব্দুর রাকিব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলার শাখার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মো. মোস্তফা আল-আমিন, মান্দা উপজেলা শাখার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডাঃ মাওলানা মো. আমিনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী সাধারণত সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসএম মোখলেছুর রহমান (কামরুল) প্রমুখ।

মান্দায় মে দিবস উপলক্ষে ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের র‌্যালি

মান্দায় মে দিবস উপলক্ষে ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের র‌্যালি


 নওগা প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় মে দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১মে) সকাল ১০ টার দিকে মান্দা উপজেলা শাখার আয়োজনে র‌্যালিটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রসাদপুর চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়। পরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত সভায় মান্দা উপজেলার ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও ডিএম মালেক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্দা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মান্দা উপজেলার সাবেক বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মকলেছুর রহমান মকে, মান্দা উপজেলা ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন, ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. সেকেন্দার আলী, মান্দা জোতবাজার শাখার ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ- সাধারণ সম্পাদক, মো. মনিরুজ্জামান হুইল, হাট চকগৌরী ইরামত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. ময়েজউদ্দিন, মান্দা উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার এনামুল হক, মলয় কুমার, মান্দা উপজেলা শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সালেকউজ্জামান সালেক প্রমুখ।

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

মান্দায় ভাইরাল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা

মান্দায় ভাইরাল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা

 

মহসিন রেজা 

নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আজ বুধবার মান্দা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। মামলায় প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন বলেন, গত ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন।

কুসুম্বা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের এসব কুকীর্তির ঘটনায় এলাকাবাসি মান্দা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন।

এ সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবারসহ এলাকাবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। অবশেষে আজ বুধবার নির্যাতিতা শিক্ষার্থী বাবা বাদি হয়ে মান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সহযোগী আসামি করা হয়েছে তার প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। এ ঘটনার পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা আক্তার পুতুল দুসন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবা বাড়ি চলে যান।

এতে ফুঁসে উঠেন এলাকাবাসি, তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ঘটনার তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

কালিগঞ্জ উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

কালিগঞ্জ উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

এস এম শাহাদাত কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার  কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মানবিকা শীল, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোসনেয়ারা খানম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সোফিয়া পারভিন, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুর রউফ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোস্তফা আক্তারুজ্জামান পল্টু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, কালিগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রতিনিধি সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, সরকারি কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ হাসানসহ সীমান্ত বিজিবি কোম্পানি কমেন্ডর গোলসহ আইনশৃঙ্খলার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কালিগঞ্জ উপজেলায় সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সড়কের প্রধান রাস্তার পাশে কোন ইট, বালু ও কাঠ ব্যবসায়ীরা রাখতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ মাইকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাবেন পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া লোকালয়ে মুরগির খামার করা যাবে না, করলে সেটি পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধ মুক্ত রাখতে হবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউনিয়ন কমিটি গঠনসহ বিবাহ রেজিস্টারদের নিয়ে বিশেষ সভা করা হবে। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গলদা চিংড়ি পোনা ও মাদকদ্রব্য প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ রেজিস্ট্রি অফিসে জমি ক্রয় বিক্রয় সমিতি ও সংগঠনের নামে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ না করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সকল অফিসে সিটিজেন চাটার সেবার মূল্য তালিকা থাকার নির্দেশনা টানানো থাকবে। বসন্তপুর সুইলপুরে নদীর মাঝখানে  জেগে ওঠা চরের বনে পাখির অভয় অরণ্যকে সুন্দরভাবে রাখা এবং বাঁশঝাড়িয়া মিনি সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আগামী মাস থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের রূপরেখা  শোনানো হয়। কমিটিতে নতুন করে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

ভূয়া  এফিডেভিটে এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ

ভূয়া এফিডেভিটে এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ

মহসিন রেজা 

নওগাঁর মান্দায় ভূয়া এফিডেভিট তৈরি করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়েসহ ফেসবুক ও টিকটকে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে খাজেদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে।

অভিযুক্ত খাজেদ আলী মান্দা সদর ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মারুফা আক্তার নামে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। আদালতের নির্দেশে নওগাঁ পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছেন।  

মামলার বাদি মনোয়ারা বিবি বলেন, ‘আমার মেয়ে মেরিনা আক্তার মুস্তারী স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। টিউশনি পড়তে যাওয়ার পথে গতবছরের ১০ অক্টোবর আসামি খাজেদ আলী তাকে রাস্তা থেকে তুলে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ভয়ভীতি দেখিলে একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে মেয়ের সাক্ষর নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ না করতেও মেয়েকে হুমকি দেন আসামি।’

বাদি মনোয়ারা বিবি আরও বলেন, মেয়ের স্বাক্ষরিত ফাঁকা স্ট্যাম্পে নওগাঁ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সম্পাদন দেখিয়ে বিয়ের কাগজপত্র তৈরি করেন আসামি খাজেদ আলী। পরে ভূয়া ওই এফিডেভিট ও মেয়ের কিছু ছবি ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দাবি করা হয় ৫ লাখ টাকার চাঁদা। ঘটনায় রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছি।

আজ বুধবার দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মনোয়ারা বিবি অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামি খাজেদ আলীর স্ত্রী মারুফা আক্তার আমার মেয়েকে সতীন দাবি করছে। সেই উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাও হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও মানহানীকর।’    

এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত খাজেদ আলীর মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে নওগাঁ পিবিআইয়ের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালতের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

অংকে ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

অংকে ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি বাঁশের ছড়ি দিয়ে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে। 

সোমবার দুপুরে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থী মো.শাফী উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে এবং গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, সোমবার টিফিনের পর দুপুর আড়াইটার দিকে গণিত ক্লাশ চলছিলো। এসময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন একটি লসাগু’র পূর্ণরুপ ভুলভাবে শিখাচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে শিক্ষার্থী সাপিকে মারপিট শুরু করে। এতে করে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্কুল ছুটির  পর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার অভিভাবককে জানায় সে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন তার অভিভাবকরা। বর্তমানে সে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে পুরুষ ওয়ার্ডের ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

আহত ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাফি জানায়, গতকাল  সোমবার টিফিন প্রিয়ডের পর দুপুর আড়াইটার দিকে গণিত ক্লাশ চলছিলো। শিক্ষক ইয়ামিন স্যার একটি লসাগু’র পূর্ণরুপ ভুলভাবে শিখাচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে মারপিট করে। এরপর আমি স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায়।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ওয়াহিদ জানায়, ইয়ামিন স্যার গণিত ক্লাস নেয়ার সময় লসাগু এর পূর্ণরূপ ভুল করে শিখাচ্ছিলেন। ওই সময় আমার বন্ধু মো. সাপি লসাগুর পূর্ণরূপ ভুল ধরার কারণে তাকে ছড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ছড়ির আঘাতে বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়।

ষষ্ঠ শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মোছা. হাবিবা খাতুন জানায়, ইয়ামিন স্যার লসাগু এবং গসাগুর পূর্ণরূপ বর্ণনা করতে বলেন। তখন সাফি আগের দিনের প্রধান শিক্ষকের শেখানো সঠিক উত্তরটি বললে তখন ইয়ামিন স্যার প্রশ্নের উত্তরে ভুল ধরেন এবং কোন কিছু বোঝার আগেই সাফিকে বেঁত দিয়ে মারধর শুরু করলে একপর্যায়ে বেঁত ভেঙ্গে যায়। পরে  হাত দিয়ে মারধর করেন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা মোছা. নাদিরা বেগম জানান, এঘটনায় আমার ছেলে ভয়ে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তাই  অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের সঠিক তদন্ত করে শাস্তির দাবী জানায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেনকে সরাসরি স্কুলে না পাওয়ায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে রিসিভ করেনি। 

এ বিষয়ে গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, শিক্ষক ইয়ামিন মারধরে বিষয়টি শিকার করেছে। তবে মারপিট করা তার ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

মান্দায় সচিবকে হত্যার হুমকি দেয়ায় ইউপি সদস্যকে বরখাস্ত

মান্দায় সচিবকে হত্যার হুমকি দেয়ায় ইউপি সদস্যকে বরখাস্ত

 


 উৎপল কুমার,মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর মান্দা উপজেলার মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকি প্রদানের অপরাধে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম (অবাক) কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী-সচিব তৌহিদ এলাহী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন অপসারণের প্রজ্ঞাপনটি হাতে পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, উপজেলার মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মো. মিজানুর রহমানকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকি প্রদান করার অভিযোগে স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে কর্তৃপক্ষ মনে করে। সেহেতু ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম (অবাক) কে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। 

এই আদেশ যথার্থ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। 

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি মান্দা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সচিবকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। এরপর সচিব মো. মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এরপর এ ঘটনার তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।


বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত


ময়মনসিংহ জেলা থেকে মোঃ মাসুদ আলম ভুইয়া, 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ এর নব গঠিত গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর কমিটির পরিচিতি ও কর্ম পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত  হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ) বিকেলে নেক্সাস রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে সভা অনুষ্ঠিত হয়।মাওলানা আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস আজিমুদ্দিন শাহ জামালী সহ সভাগতি জেলা শাখা,বিশেষ অতিথি মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ জেলা উপদেস্টা,স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোঃ আলিম উদ্দিন সাধারন সম্পাদক উপজেলা ও সহ-সভাপতি জেলা শাখা, হাফেজ মতিউর রহমান সভাপতি পৌর শাখা,মাওলানা সাইফুল্লাহ রাহমানী সভাপতি যুব মজলিশ সহ বিভিন্ন পর্য্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

 কালিগঞ্জে ভাইরাসে আক্রান্ত বাগদা চিংড়ী ঘের পরিদর্শন করলেন (ইউএনও)

কালিগঞ্জে ভাইরাসে আক্রান্ত বাগদা চিংড়ী ঘের পরিদর্শন করলেন (ইউএনও)




এস এম শাহাদাত বিশেষ প্রতিনিধিঃ 

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাইরাসে আক্রান্ত বাগদা চিংড়ি ঘের পরিদর্শন ও চাষীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। সোমবার (৭ এপ্রিল-২৫) বেলা ১২ টায় শ্রীকলা যুব উন্নয়ন সোসাইটি কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন পরিকল্পনা মাফিক ঘের পরিচর্যা থেকে শুরু করে মৎস্য চাষ করলে চাষি কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনাদের সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে। সেলক্ষে আপনাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন কোন কিছু বুঝে উঠার আগে প্রায়ই ঘেরে বাগদা চিংড়ী মারা যাচ্ছে। চাষীরা প্রতিকার করার কোন সময় পাচ্ছেনা আবার কোন ঔষধেও কাজ হচ্ছেনা, মাছ মরে পঁচে যাচ্ছে। একারনে আমি শ্রীকলা, তুলাকাটি ও দক্ষিন শ্রীপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যঘের পরিদর্শন ও আপনাদের সাথে মতবিনিময় করতে এসেছি।কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একটি ঘেরে মাছ মরছে, সেই ঘেরের পানি ও দুর্গন্ধ ছড়ানো মাছসহ নালা বা খালে ফেলছেন। ঐ বিষাক্ত ও জীবানুযুক্ত পানি অন্য মৎস্যঘেরে উঠাচ্ছেন। ফলে নতুন নতুন ঘের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে চাষীরা সর্বশান্ত হচ্ছে। এজন্যে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে। আমি খুব দ্রæত আপনাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। অবশ্যই আপনারা উপকৃত হবেন।মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিঃ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌকির আহমেদ, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল, সিনিঃ সদস্য মোঃ ইশারাত আলীসহ শতাধিক মৎস্য চাষী ও সূধীবৃন্দ। কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলে বাগদা ঘেরে মৌসুমের শুরুতে চিংড়ী মাছে মড়কের ফলে উপজেলায় বাগদা চাষীদের মারাত্বক লোকসানের মুখে পড়েছে। চাষীরা চরম হতাশ এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১৫ হাজার ঘেরের আয়তন ১৬"শ হেক্টর। এবছরে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ী মাছ উৎপাদন হওয়ার কথা। সে হিসেবে হেক্টর প্রতি ৪'শ কেজি বাগদা উদপাদন লক্ষ্যমাত্রা চাষীদের। কিন্তু এবার মৌসুমে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো বাগদা চাষীরা। সেকারনে কালিগঞ্জ উপজেলায় বাগদা উৎপাদন লক্ষ মাত্রা অর্জন সম্ভব হবেনা সেকারনে চাষীরা মারাত্বক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

শ্রীকলা গ্রামের মৎস্যচাষী মহব্বত আলী বলেন, আমাদের ঘের ভাইরাসে আক্রান্ত, মাছ মরেছে গেছে। তরপরেও আমাদের ঘেরে পানি উঠানামার খাল মুক্ত নয়। দখলবাজরা দখল কওে আছে। পানি প্রবাহ উন্মুক্ত করা না হলে আমাদের ঘেরে প্রয়োজনীয় সময় আমরা ঠিকমতো পানি উঠানামা করতে পারবোনা। সিংহের মেদে বড়খাল, ঘোজা ডাঙ্গা খাল ও মদিনার দরগাহ খাল অবমুক্ত হলে এলাকার ৩০ টি বিলের ৫ হাজার বাগদা চিংড়ী চাষী বেঁচে যাবে। 

এসময় সকল মৎস্য চাষী নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল এর কাছে খাল অবমুক্ত করার দাবী জানান। নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল মৎস্য চাষীদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।

শ্রীকলা, ঠেকরা রহিমপুর, তুলাকাটি, দক্ষিণ শ্রীপুর, বেড়াখালী সহ আশপাশের দুইশত মৎস্য চাষীদের মধ্যে আব্দুর রহমান বলেন আমাদের খাল অনেক সরু হয়ে গেছে। আমাদের খাল খনন করে পানি উঠানামার সঠিক ব্যবস্থা করা হয় তবে বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা হবেনা এবং মৎস্য ঘের ডুবে যাবেনা। আমরা উন্মুক্ত পরিবেশে বাগদা চিংড়ী চাষ করতে চাই। আপনারা আমাদের সেই পরিবেশ করে দেন। আপনি নিজে দেখেছেন মাছ মরার দৃশ্য। আমরা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাগদা চিংড়ী চাষ করতে পারবোনা।কাজী আব্দুল হালিম বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে ঘের করছি। স্যার আমাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দেন যাতে আমরা ঋণগ্রস্ত না হই। আমাদের শতভাগ ঘের ভাইরাসে আক্রান্ত এবং আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। এসময় উপজেলা সিনিঃ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌকির আহমেদ বলেন, আমরা আপনাদের ঘেরের পানি ও মাটি পরীক্ষা করবো। পাশাপাশি আপনাদের পাশে থেকে যাতে আপনারা বাগদা চিংড়ী চাষ করে লাভবান হন সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুজা মন্ডল মৎস্য চাষীদের সাথে মতবিনিময় কালে বলেন আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। আপনাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবো। খালের পানি যাতে অবাধে প্রবাহিত হয় সেব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব। সিংহের মেদে খাল দিয়ে যাতে অবাধে পানি উঠানামা করতে পারে সে লক্ষে একটি কালভাট অবশ্যই করা হবে। আপনারা আশাহত হবেননা। আপনারা জাতীয় উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছেন। একারনে আপনাদের সমস্যার সমাধান আগে সমাধান করার চেষ্টা করবো। সাথে সাথে খালের পানি যাতে অবাধে উঠানামা করতে পারে সেলক্ষে কাজ করবো।


মান্দায় ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করে ভাইরাল প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর পাঁয়তারা

মান্দায় ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করে ভাইরাল প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর পাঁয়তারা


মহসিন রেজা :

নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করে ভাইরাল হওয়া নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনকে বাঁচানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বললেও তা অস্বীকার করছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা প্রশাসনের পদস্থ দুই কর্মকর্তার দু’ধনের বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনকে এসব দায় থেকে বাঁচানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বাল্যবিয়ের শিকার ওই ছাত্রীর নাম দোলা আক্তার। মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে দোলা আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স হচ্ছে ১৬ বছর ৬ মাস। গত ২৬ মার্চ তাকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। তিনি হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আফছার আলী মণ্ডলের ছেলে।    

এদিকে ছাত্রী দোলা আক্তারকে বাল্যবিয়ে করার সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণসহ বিচার দাবি করেন। ইউএনওর কাছে অভিযোগও দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিন বলেন, সাড়ে ১৬ বছর বয়সী ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করেছেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। ঘটনার ১১দিন পেরিয়ে গেলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক নিজেই যদি বাল্যবিয়ে করেন তাহলে সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে দুর হবে কীভাবে।

জানতে চাইলে বাশিস নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সোরয়ার স্বপন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনাটি নিয়ে আমরা শিক্ষক সমাজ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছি।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহ আলম বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরণের কোনো চিঠি পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।