মান্দা (উপজেলা প্রতিনিধি):
নওগাঁর মান্দায় মো. মেহেদী হাসান টগরের স্ত্রী রুনা আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় করা অভিযোগ এবং বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমএসইউ) মান্দা শাখা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বামীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি জানান, গত ১০ আগস্ট মান্দা থানায় শরিফা বেগম নামে এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ১৬ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শরিফা বেগম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বড় ছেলে আকাশ মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে একাধিক মামলার আসামি এবং বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। এছাড়া ওই নারী স্বামীর মৃত্যুর পর আপন ভাগিনাকে বিয়ে করেন, যার কারণে সমাজ তাকে একঘরে করে।
তিনি অভিযোগ করেন, শরিফা বেগম তার দুই ছেলে, বর্তমান স্বামী ও ছোট মেয়ের জামাইকে নিয়ে একাধিক অমানবিক ঘটনায় জড়িত। কয়েক মাস আগে গরম পানি ঢেলে মানুষ পুড়িয়ে দেওয়া ও দোকানঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ১০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে শরিফা বেগম টগরের বাড়িতে এসে গালিগালাজ ও অপমানজনক আচরণ করে এবং টগরের স্ত্রীকে মারধরের চেষ্টা চালায়। ওই ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে থানায় অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া তিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম মোর্শেদ চৌধুরীর আনা অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকৃত কারণ হলো, আমার স্বামী পূর্বে সেলিম মোর্শেদ চৌধুরীর মাদকাসক্তি নিয়ে কথা বলেছিলেন। সালিশে তিনি হেরে যাওয়ার পর থেকেই আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সেলিম মোর্শেদ চৌধুরী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমি দখল করে হাসপাতাল মোড়ে ২০-৩০টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও স্থানীয় একটি মসজিদের সভাপতি হওয়ার পর সামনের জমি দখল করে মাইক্রোবাস গ্যারেজ তৈরি করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড দলের আদর্শের পরিপন্থী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
লিখিত বক্তব্যে টগরের স্ত্রী আরও বলেন, টগরের ছোট মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীও শরিফা বেগমের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত। বিষয়টি নিয়ে স্বামী প্রতিবাদ করায় তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একই সঙ্গে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কেউ মিথ্যা অপপ্রচার চালালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।