শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

মান্দায় জমি বিরোধে দিনে-দুপুরে হামলা, গাছ কেটে ঘর ভাঙার অভিযোগ

 


উৎপল কুমার, মান্দা উপজেলা, প্রতিনিধি।

নওগাঁর মান্দায় কশব ইউনিয়নে খাজুরিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দিনে-দুপুরে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে গাছ কেটে ফেলা ও ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রায় ৯০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মো. বাবুল হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুল হোসেন ২০০২ সাল থেকে তার পৈতৃক ও দলিল সূত্রে পাওয়া ১৬ শতাংশ জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন জুমার নামাজের সময়, বাবুল হোসেন বাড়িতে না থাকায় সুযোগ নিয়ে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাইদুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী রানী বেগম (৪৫), বাকী (৫০), রহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং আরও ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বসতভিটায় হামলা চালান।

এ সময় তারা খলিয়ানে লাগানো প্রায় ২৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬০ হাজার টাকা। পাশাপাশি তারা টিনশেডের ঘরে ভাঙচুর চালায়, এতে আরও ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসময় পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেন।

অভিযুক্ত সাইদুর রহমান বলেন,  আমার সেখানে ৭.৩৩ ডেসিমেল জমি রয়েছে। গ্রাম প্রধানসহ প্রায় ২০-২৫ জনের উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে জমিটি আমার নামে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এরপর আমি ওই জমিতে বালি ফেলে ভরাটের প্রস্তুতি নিই। তবে এরপরও, শুক্রবার আরেকটি বৈঠকের জন্য আমাকে ও আমার পক্ষের লোকজনকে ডাকা হয়। আমরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও, অন্যপক্ষ বৈঠকে আসে না। এরপর আমি জমি দখলের জন্য কিছু গাছ কাটি ও ঘর ভাঙচুর করি। তবে এর জেরে ওরাও আমাকে মারধর করে, যার ফলে আমাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে ভর্তি হতে হয়।

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, অভিযোগ এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: