নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি বাঁশের ছড়ি দিয়ে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী মো.শাফী উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে এবং গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, সোমবার টিফিনের পর দুপুর আড়াইটার দিকে গণিত ক্লাশ চলছিলো। এসময় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন একটি লসাগু’র পূর্ণরুপ ভুলভাবে শিখাচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে শিক্ষার্থী সাপিকে মারপিট শুরু করে। এতে করে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার অভিভাবককে জানায় সে। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন তার অভিভাবকরা। বর্তমানে সে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে পুরুষ ওয়ার্ডের ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহত ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সাফি জানায়, গতকাল সোমবার টিফিন প্রিয়ডের পর দুপুর আড়াইটার দিকে গণিত ক্লাশ চলছিলো। শিক্ষক ইয়ামিন স্যার একটি লসাগু’র পূর্ণরুপ ভুলভাবে শিখাচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে মারপিট করে। এরপর আমি স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায়।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ওয়াহিদ জানায়, ইয়ামিন স্যার গণিত ক্লাস নেয়ার সময় লসাগু এর পূর্ণরূপ ভুল করে শিখাচ্ছিলেন। ওই সময় আমার বন্ধু মো. সাপি লসাগুর পূর্ণরূপ ভুল ধরার কারণে তাকে ছড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ছড়ির আঘাতে বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়।
ষষ্ঠ শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী মোছা. হাবিবা খাতুন জানায়, ইয়ামিন স্যার লসাগু এবং গসাগুর পূর্ণরূপ বর্ণনা করতে বলেন। তখন সাফি আগের দিনের প্রধান শিক্ষকের শেখানো সঠিক উত্তরটি বললে তখন ইয়ামিন স্যার প্রশ্নের উত্তরে ভুল ধরেন এবং কোন কিছু বোঝার আগেই সাফিকে বেঁত দিয়ে মারধর শুরু করলে একপর্যায়ে বেঁত ভেঙ্গে যায়। পরে হাত দিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা মোছা. নাদিরা বেগম জানান, এঘটনায় আমার ছেলে ভয়ে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তাই অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের সঠিক তদন্ত করে শাস্তির দাবী জানায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেনকে সরাসরি স্কুলে না পাওয়ায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, শিক্ষক ইয়ামিন মারধরে বিষয়টি শিকার করেছে। তবে মারপিট করা তার ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 coment rios: