News24
বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালের বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের সংখ্যায় শীর্ষে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আছে তৃতীয় স্থানে।
বিগত বছরের মতো শীর্ষ তিন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে। স্কোপাসের গবেষণা ডেটাবেজে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনলাইন সাময়িকী সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কোপাস তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নথিপত্র নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
স্কোপাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ১ হাজার ৫০০টি প্রকাশনা নিয়ে দেশে গবেষণায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪১০টি। ১ হাজার ১০০-র বেশি প্রকাশনা নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগের বছর ড্যাফোডিলের এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০টি। প্রায় ৯০০ প্রকাশনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ অবস্থানে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার র্যাঙ্কিংয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পঞ্চম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অষ্টম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নবম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দশম অবস্থানে আছে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার প্রধান বিষয়গুলো ছিলো প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান। প্রতিবেদনটিতে প্রবন্ধের পাশাপাশি কনফারেন্স পেপার, রিভিউ, বইয়ের অধ্যায়, চিঠি, ভুল সংশোধনী, নোট, সম্পাদকীয়, ডেটা পেপার, বই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা নথি স্থান পেয়েছে। তবে ২০২৪ সালে কোনো পেটেন্ট নিবন্ধিত হয়নি। এছাড়া গত বছর প্রথমবারের মতো টেক্সটাইল গবেষণায় প্রকাশনা দেখা গেছে।
২০২৪ সালে গবেষণায় অর্থায়ন করা শীর্ষ ১৫ সংস্থার মধ্যে ১১টিই ছিল বিদেশি সংস্থা। জাতীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অর্থায়নে প্রথম (সার্বিক তালিকায় দ্বিতীয়) অবস্থানে ছিল। শীর্ষ ১৫ অর্থায়ন সংস্থার তালিকায় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েট এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশি গবেষকদের প্রবন্ধ প্রকাশ করা শীর্ষ জার্নালগুলো হলো: হেলিয়ন, প্লস ওয়ান, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস, আইইইই অ্যাকসেস, হেলথ সায়েন্স রিপোর্টস, সাসটেইনেবিলিটি সুইজারল্যান্ড, আরএসসি অ্যাডভান্সেস, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ।স্কোপাস ডেটাবেজ অনুসারে, ২০২৪ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম ১০৬টি নিবন্ধ প্রকাশ করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এম খালিদ হোসেন এবং তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিনাজপুর-এর আকবর হোসেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার সংখ্যা বাড়লেও প্রকাশনার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যদিও তিন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা প্রায় একই। বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের রয়েছে প্রথম অবস্থানে ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ১৫ হাজার ৪১৩টি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের প্রকাশনা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
0 coment rios: