রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

 কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপি'র আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও দোয়া

কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপি'র আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও দোয়া



কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ


কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপি'র উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৯ মার্চ-২৫) বিকালে মৌতলা ইউনিয়ন পারিষদ চত্ত্বরে

কালিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক এম হাফিজুর রহমান শিমুল এর সঞ্চালনায়  উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব কাজী মোঃ আলাউদ্দিন। শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আশেক ইলাহী মুন্না, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা আক্তারুজ্জামান বাপ্পী, সাবেক সদস্য সচিব ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুজ্জামান, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক এস এম হাফিজুর রহমান বাবু, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক এনাম, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোজাফ্ফর হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ আলাউদ্দিন সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম রবিউল্লাহ বাহার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ, সদস্য সচিব কাজী আবু সাঈদ সোহেল, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান ছোটন, উপজেলা জাসাস এর আহ্বায়ক জি এম মুরশীদ আলী, উপজেলা তাঁতিদলের আহ্বায়ক শরীফ আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ প্রমুখ। উপজেলার মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আনিছুর রহমান হাবিবুল্লহ, সাবেক সদস্য সচিব কাজী মোফাজ্জেল কবীর পলাশ, সাবেক সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক বিএনপির নেতা ইউপি সদস্য ফয়সাল কবীর ও কাজী শরিফুল্লাহ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে কালিগঞ্জের মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সকল নেত্রবৃন্দের অংশগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


(স্কুলে গিয়ে গাঁজা সেবনের অভিযোগে) শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেলেন দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন; পাঠানো হয়েছে ডোপ টেস্টে

(স্কুলে গিয়ে গাঁজা সেবনের অভিযোগে) শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেলেন দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন; পাঠানো হয়েছে ডোপ টেস্টে




 নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ সরকারি (কৃষ্ণধন) কেডি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুলের সীমানায় এসে ওই তিনজন গাঁজা সেবন করছিল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সার্চ করে একটি গাঁজার সিগারেট পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে নিয়ে এসে ডোপ টেস্টে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেডি স্কুলের সীমানায় পরিত্যাক্ত ভবনের পাশে।


অভিযোগ ওঠাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য হলেন সুজন ও আলী আলম এবং অপরজন হলেন একজন সরকারি কর্মকর্তার ড্রাইভার কার্ত্তিক সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী অফিসার এস আই নুর নয়ন। তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, তাদের ডোপটেস্টের রিপোর্ট এই মাত্র হাতে পেলাম। তিনজনেরই নেগেটিভ এসেছে। এখন বিষয়টি উর্দ্ধতন স্যারেরা দেখবেন।


এদিকে পুলিশ সদস্য শিক্ষার্থীদের হাতে গাঁজা সেবনকালে আটক বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পোশাক পড়া এক পুলিশকে তাদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলতে শোনা যায়, রোজার দিন তারা এখানে এসে বিড়ি খাচ্ছিল। পোশাক ছাড়া আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, একটা বিষয় নিয়ে এখানে এসে কথা বলছি। তবে তাদের এই যুক্তি মেনে নেননি শিক্ষার্থীরা।


অপরদিকে তাদের এমন কথা শুনে শিক্ষার্থীদের বলতে শোনা যায়, আপনাদের কাজ অফিস রুমে। আপনাদের স্কুলে ঢোকার কোনো বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। তাই শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনাদের স্কুলে ঢোকার বৈধতা নেই। এখানে ঠিকাদারী কাজ চলছে এই বাহানা দিলেও মানা যেত।


আরও বলতে শোনা যায়, গাঁজা খাচ্ছিল এমন ভিডিও আমাদের কাছে আছে। হাতে একটা সিগারেট সদৃশ বস্তু নিয়ে তাদেরকে বলতে শোনা যাচ্ছে এটা গাঁজার সিগারেট। অবৈধ প্রশাসন, মানি না মানবো না। পুলিশ কেন গাঁজা খায় “জবাব চাই, বিচার চাই।”


এমন সময় একজন চলে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তবে তার মুখে মাক্স পড়া ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা তাকে মাক্স খুলতে বলেন।


বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার আবু জার গাফ্ফার মুঠোফোনে বলেন, তিনজনকে ডোপটেস্টের জন্য আনা হয়েছিল। তাদের স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। প্রসেসিং চলছে। যেকোনো সময় রিপোর্ট জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহেদ ফেরদৌস বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে শিক্ষার্থীরা গাঁজা সেবন করতে দেখতে পায়। বিষয়টি তাদেরকে বলতে গেলে তারা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। কিন্তু বেশি শিক্ষার্থী থাকায় তারা পারেনি। একসময় শিক্ষার্থীরা তাদেরকে সার্চ করলে তাদের পাশে গাঁজার সিগারেট পায়। খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম এসে তাদেরকে নিয়ে যায়। এবং শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবেন বলে আমাদেরকে জানান।


তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলকে মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত ঘোষণা করেছি। স্কুল ছুটির পর বহিরাগতরা এসে এখানে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে। বিষয়টি আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে বলেছি।


নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন,

ইতিপূর্বে পুলিশ প্রশাসনের কোনো সদস্য এই স্কুলে মাদক সেবন করে কিনা এটা আমার জানা নেই। আজ আমি জানতে পারি, ওই তিনজন নাকি গাঁজা সেবন করেছে, তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ছিল। তাই তাদেরকে ছাত্ররা ধরে রেখেছে এবং পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদেরকে নিয়ে গেছে।


তিনি আরও বলেন, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটা পবিত্র জায়গা। এখানে যদি কেউ নেশাদ্রব্য নিয়ে আসে বা সেবন করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি এম এ মান্নান মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে কেডি স্কুল থেকে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদেরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সেখানে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন। আমরা উনার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছি।


নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী। কেন নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি মুঠোফোনে বলেন, সিগারেট অথবা নেশা জাতীয় কিছু খাচ্ছিল, সেই জন্য ডোপ টেস্টে পাঠানো হয়েছে। ডোপ টেস্টের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


ক্যাপশন: পোশাক ছাড়া কোমরে অস্ত্র ও পোশাকসহ দুইজন পুলিশ সদস্য। আরেকজন মাক্স পড়া অবস্থায় আছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা হাতে গাঁজার সিগারেট দেখাচ্ছেন।


নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে লাউয়ের মতো দেখতে নতুন জাতের ‘লাউ বেগুন’

নওগাঁয় সাড়া ফেলেছে লাউয়ের মতো দেখতে নতুন জাতের ‘লাউ বেগুন’

 


মহসিন রেজা 

 

নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বৃষ্টি বানু নতুন জাতের ‘লাউ বেগুন’ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। দূর থেকে দেখলে এটি লাউয়ের মতো মনে হলেও, আসলে এটি উচ্চ ফলনশীল এক ধরনের বেগুন। আকারে বড় হওয়ায় ও প্রচলিত বেগুনের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে এটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বারি-১২ জাতের এই ‘লাউ বেগুন’ নওগাঁয় চাষ শুরু হয়েছে। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছে ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত বেগুন ধরছে, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া, এই বেগুনে রোগবালাই কম হওয়ায় এবং কম সেচেই ভালো ফলন হওয়ায় এটি কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

 

চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম শিক্ষাগত জীবনে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও কৃষিকাজে তিনি বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। প্রথমদিকে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেও তেমন সফল হতে পারেননি। পরে তিনি ও তার স্ত্রী বৃষ্টি বানু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘মৌসুমী’-এর সদস্য হন এবং ২০২৪ সালে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সহায়তায় ‘বারি-১২’ জাতের বেগুন চাষের প্রশিক্ষণ নেন।

 

প্রশিক্ষণ শেষে মৌসুমী সংস্থা থেকে ৬০০টি চারা সরবরাহ করা হয়। এরপর তারা নিজস্ব ১৫ শতক জমিতে ওই চারা রোপণ করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই গাছে প্রচুর বেগুন ধরেছে, যা বাজারে এনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

 

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে নওগাঁ হাটে দেড় মন বেগুন বিক্রি করেছি। সাধারণ বেগুন যেখানে এখন ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মণে বিক্রি হয়, সেখানে আমার এই বেগুন ১৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। হাটে নিয়ে গেলে সবাই জানতে চাইছে, "এটি লাউ না বেগুন?" নিমিষেই সব বিক্রি হয়ে যায়। লাভও অন্য বেগুনের তুলনায় চারগুণ বেশি।’

 

তার স্ত্রী বৃষ্টি বানু বলেন, ‘প্রথমবার চাষ করেই এত ভালো ফলন পেয়েছি যে আমরা খুবই খুশি। মৌসুমী সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের চারা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই বেগুন চাষ করতে চাই।’

 

সরেজমিনে রফিকুল ইসলামের বেগুন ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এই ব্যতিক্রমী বেগুন দেখতে আসছেন। অনেকেই বলছেন, তারা এত বড় আকারের বেগুন আগে কখনো দেখেননি। স্থানীয় চাষি সবুজ হোসেন বলেন, ‘এত বড় বেগুন জীবনে দেখিনি। এক-দেড় কেজি ওজনের বেগুন বিশ্বাস করা কঠিন। আগামী বছর আমি নিজেও এই বেগুন চাষের পরিকল্পনা করছি।’

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘উৎপাদন ও স্বাদের দিক থেকেও এটি ব্যতিক্রমী। এই বেগুন লেট উইন্টার সবজি হওয়ায় শীতের শেষের দিকে বাজারে আসে, তাই বেগুনের দাম তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে কৃষকরা এটি চাষে আরও উৎসাহিত হবেন।’

 

নতুন জাতের এই ‘লাউ বেগুন’ চাষের সাফল্য শুধু রফিকুল দম্পতির জন্য নয়, বরং পুরো নওগাঁ জেলার কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বীজ সংরক্ষণ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ করা গেলে এটি আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে কৃষকরা আরও লাভবান হবেন এবং দেশের বেগুন চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর যুবদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুৃষ্ঠিত

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর যুবদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুৃষ্ঠিত

 


কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ মার্চ) বিকেলে পূর্ব কালিকাপুর গাজীবাড়ি ঈদগাহ ময়দানে ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক জি এম রবিউল্লাহ বাহার, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদ মোস্তফা, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শেখ আব্দুল করিম, শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান, খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জাফর ইকবাল বাবু,  এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা জিএম আফজাল হোসেন, আবুল কালাম মেম্বার, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম, বিল্লাহ হোসেন,রাজু প্রমুখ। এসময়ে অত্র ইউনিয়ন বিএনপি ও যুবদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শতাধিক সাধারণ জনগন উপস্থিত ছিলেন।

মান্দায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মান্দায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

 


মহসিন রেজা 

নওগাঁর মান্দায় জাতীয়তাবাদী যুবদল ৪ নং মান্দা সদর ইউনিয়নের উদ্যোগে ফেরিঘাট হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি সহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


উক্ত ইফতার মাহফিলে মান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে ও কামরুজ্জামান রিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোকলেছুর রহমান মাকে।


বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু।


অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আঃ জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান নান্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড, মিজানুর রহমান মিজান যুগ্ম আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ডিএ মালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক মাস্টার,  সহ মান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা

কালিগঞ্জ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কালিগঞ্জ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 


কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

"অধিকার সমতা ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন" এই স্লোগানকে সামনে রেখে কালিগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ -২০২৫) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তির সভাপতিত্বে ও কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চুর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  অনুজা মন্ডল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক সমিতির উপজেলা সভাপতি  শেখ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সদস্য সচিব ডাঃ শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঊপজেলা সভাপতি এম হাফিজুর রহমান শিমুল, উপজেলা লেডিসক্লাবের সম্পাদিকা ঈলাদেবী মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এলাকার নারী উন্নয়ন সংস্থা, গণমাধ্যমকর্মী ও সূধীবৃন্দ।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

 স্কুল শিক্ষিকা থেকে ফিল্মি স্টাইলে হয়ে যান মেয়র কে এই জাকিয়া

স্কুল শিক্ষিকা থেকে ফিল্মি স্টাইলে হয়ে যান মেয়র কে এই জাকিয়া




পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পলাতক অবস্থায় যেভাবে চাকরি ছাড়লেন জাকিয়া স্কুল সূত্রে জানা গেছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে স্কুলে দরখাস্ত পাঠান।

মূল পেশা ছিল বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা। পঞ্চগড় ড. আবেদা হাফিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক তিনি ছিলেন। পরে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহমুদা বেগম কৃকের খুঁটির জোরেই জাকিয়া হয়ে উঠেন প্রভাবশালী নেত্রী। এছাড়া আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেরসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ছিল তার নিবিড় ঘনিষ্ঠতা।

জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই তিনি স্কুলে আসেন না। শারীরিক অসুস্থতাজনিত ছুটিতে থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে চলেছেন প্রক্সি টিচার দিয়ে ।

পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী জাকিয়া খাতুন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিনা ভোটের মেয়র ছিলেন তিনি।

সম্পূর্ণ ফিল্মি কায়দায় দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে মেয়র বনে যান তিনি। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে হেন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। দলীয় পরিচয় আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অল্প সময়েই বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। বনে গেছেন জিরো থেকে হিরো।

বর্তমানে সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন হত্যা, নাশকতা, বিএনপি অফিস ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। এদিকে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে জাকিয়া খাতুনের মূল পেশা ছিল বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা। তিনি ছিলেন পঞ্চগড় ড. আবেদা হাফিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক। তার স্বামী মো. আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে করণিকের চাকরি করেন।

এরপর মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুবাদে জাকিয়া খাতুন এখন ধনকুবের। অথচ স্কুলশিক্ষকের মাত্র ২২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে এখন বাড়ি-গাড়ি, ধনসম্পদ কি নেই তার? জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন ঠেকাতে শ্রমিক হত্যাসহ নজিরবিহীন অপকর্মের পরও তিনি এখনো অধরা।

জাকিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-বিভিন্ন খরচের নামে পৌরসভার অর্থ লুটপাট, মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, পৌরসভার বরাদ্দ আনার নামে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নজিরবিহীন চাঁদাবাজি, পৌরসভার কোটি কোটি টাকার কাজে নিজেই ঠিকাদারি করা, পৌরসভার বিভিন্ন কেনাকাটার নামে লুটপাট, বিভিন্ন দোকানপাট বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, তদবির বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি গা-ঢাকা দেন। বাসাবাড়ি সব ফেলে পঞ্চগড় থেকে উধাও হয়ে যান।

অভিযোগ রয়েছে, শুধু নিজে লাভবান হওয়ার জন্য জাকিয়া খাতুন ২০২১-২২ অর্থবছরে পঞ্চগড় পৌরসভার সামনে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সুপার মার্কেট নির্মাণ করেন। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঠিকাদারকে স্পেশাল শাহ সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করার কথা থাকলেও নিম্নমানের সিমেন্ট দিয়েই এ কাজটি করেন তিনি বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। এদিকে এ মার্কেটটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় গত তিন বছর ধরে এখন পরিত্যক্ত পড়ে আছে। এছাড়া জাকিয়া খাতুন শুধু ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পৌরসভার টাকায় মূল গেটের সঙ্গে কয়েকটি দোকানঘরও নির্মাণ করে সেগুলো ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একই সঙ্গে তার আমলে প্রতিটি অর্থবছরে পৌরসভার বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজের ঠিকাদারি নিতেন তিনি। আর কাজগুলো দেখভাল করতেন তার স্বামী আনোয়ার হোসেন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, জাকিয়া খাতুন এখন ঢাকায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাটে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। জানা যায়, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহমুদা বেগম কৃকের খুঁটির জোরেই জাকিয়ার এত আয়-উন্নতি। এছাড়া আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেরসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ছিল তার নিবিড় ঘনিষ্ঠতা। আর এসব কাজে লাগিয়ে তিনি বড় বড় কাজের তদবির, চাকরির তদবিরসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে কোটি কোটি টাকা কামাই করেছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তিনি পৌর মেয়র থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই সঙ্গে পঞ্চগড় ড. আবেদা হাফিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসাবে ও পৌরসভার মেয়র হিসাবে বেতন-ভাতাদি নিয়েছেন।

তবে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই শারীরিক অসুস্থতাজনিত ছুটিতে থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতাদি গ্রহণ করে চলেছেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি স্কুলেও আসতেন না। একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যেতেন। আর ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরও তিনি চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকিয়া খাতুন ২০২০ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ঢাকার দুই কোটি টাকা দিয়ে অভিজাত আধুনিক একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। একই সঙ্গে তার মেয়েকে বিপুল অর্থ ব্যয় করে পড়াচ্ছেন ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একই সঙ্গে মেয়েকে স্কুল থেকে আনা-নেওয়ারত নতুন মডেলের প্রিমিও এফ মডেলের গাড়ি। এছাড়া তার বাবার বাড়ি দিনাজপুর শহরেও গড়ে তুলেছেন কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি ও বিপুল সহায়-সম্পত্তি।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মাসুদ বলেন, জাকিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ কয়েকটি অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে


 রমজানের শুরুতেই নওগাঁয় তরমুজের সরবরাহ ভালো, দামও তুলনামূলক কম

রমজানের শুরুতেই নওগাঁয় তরমুজের সরবরাহ ভালো, দামও তুলনামূলক কম


মহসিন রেজা 

রমজান মাস শুরুর পর থেকেই নওগাঁর বাজারে তরমুজের সরবরাহ ভালো রয়েছে। জেলার বিভিন্ন বাজারে দেশি-বিদেশি নানা জাতের তরমুজ আসছে, যা বাজারকে করেছে সরগরম। ইফতারে অন্যতম জনপ্রিয় এই ফলের চাহিদা বেড়েছে, ফলে বাজারজুড়ে ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার নওগাঁয় তরমুজের দাম কিছুটা কম, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর।

নওগাঁর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের রমজানে তরমুজের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে কম। গত বছর যেখানে প্রতি কেজি তরমুজ ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে, সেখানে এবার তা ৪০-৫০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি বাজারেও প্রচুর তরমুজ সরবরাহ থাকায় খুচরা বাজারেও দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এক তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, "এবার আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ পাচ্ছি। পাইকারি বাজারেও ভালো সরবরাহ রয়েছে, ফলে দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।"

নওগাঁসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, যশোর, রাজশাহী, ফরিদপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপক পরিমাণে তরমুজ আসছে এবং তরমুজ নওগাঁর বাজারে ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে বাজারে কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না।

নওগাঁয় তরমুজের দাম কম থাকায় ক্রেতারাও স্বস্তিতে আছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি আকারের তরমুজ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় আকারের তরমুজের চাহিদাও কম নয়। অনেকেই ইফতারের জন্য একাধিক তরমুজ কিনছেন।

একজন ক্রেতা বলেন, "প্রতিদিন ইফতারে তরমুজ রাখা হয়। এবার দাম তুলনামূলক কম থাকায় সহজেই কেনা যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় দাম কম থাকায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।"

 নওগাঁর ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রমজানের মাঝামাঝি সময়ে সরবরাহ আরও বাড়তে পারে। পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম স্থিতিশীল থাকলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে।

তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, "রমজানের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা আগেভাগেই পর্যাপ্ত তরমুজ মজুদ করেছি। আশা করছি, দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং ক্রেতারা সহজেই তরমুজ কিনতে পারবেন।"

রমজানের শুরু থেকেই নওগাঁয় তরমুজের বাজার চাঙা রয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা উভয়েই এবারের তরমুজ বাজার নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে বাজার তদারকি নিশ্চিত করলে ভোক্তারা পুরো রমজানজুড়ে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ কিনতে পারবেন।


 কুশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কুশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল



আলমগীর হোসেন কালিগঞ্জ প্রতিনিধি।

কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার বিকালে কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম হাফিজুর রহমান শিমুল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির  সদস্য আলহাজ্ব কাজী মোঃ আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।  ইদ্রীস আলী সরদার, আব্দুল জলিল মোড়ল, যুবদলের আহবায়ক শেখ আব্দুল করিম, উপজেলা জাসাস এর আহবায়ক মুরশীদ আলী, সদস্য সচিব মারুফ বিল্লাহ, হাফেজ আরাফাত হোসেন, সাহাবুদ্দিন মোড়ল, এসময় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আলী হোসাইন।


 নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন

নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন



নওগাঁ জেলা   প্রতিনিধি 

নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন রুমনকে ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে তাঁদের সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের এক নোটিশে বলা হয়, ক্লাবের নির্বাহী কমিটির দুইজন সদস্যরা সভাপতির কাছে প্রেসক্লাবে এসে তাঁদের অভিযোগ দেন। তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে নওগাঁ ইউনাইটেড প্রেসক্লাব ও সদস্যদের নিরাপত্তা এবং সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে এই একজনকে অব্যাহতি ও সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যায়যায় দিনের নওগাঁ প্রতিনিধি রুহুল আমিনকে সাধারণ সম্পাদক এবং দীর্ঘদিন দপ্তর পদ শূন্য থাকায় সাইফুল ওয়াদুদকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ